ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত দশটি স্থান ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ
ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় বিগত কয়েক বছরে এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। টানা বর্ষণ ও ভারতীয় উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন (পাউবো) ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন মজুমদার জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হইতেছে। নদীর অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং বাঁধের ভাঙন রোধে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯টি (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৭টি) এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতিতে ফুলগাজী উপজেলায় ০২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩৬টি পরিবারের ৮৫ জন;
পরশুরাম উপজেলায় ০২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ০৫টি পরিবারের ২০জন;
সদর উপজেলায় ০১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ০৭টি পরিবারের ২৮জন আশ্রয় নিয়েছে।