আশুলিয়ায় অবৈধ জুয়া লটারি উচ্ছেদে বাধা! হকার খোকার চক্র। আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা ও বটতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবৈধ জুয়া ও লটারির বিরুদ্ধে সম্প্রতি বড়সড় পদক্ষেপ নেয় মডেল সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব। ক্লাবের সভাপতি নাজমুল হক ইমুর নেতৃত্বে সাংবাদিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পাশে নিয়ে এই জুয়া খেলা উচ্ছেদ করেন। এই সাহসী উদ্যোগে সহায়তা করেন আশুলিয়া থানা পুলিশের একজন চৌকস এসআই আনোয়ার হোসেন।
কিন্তু অবৈধ লটারি চক্রের স্বার্থে আঘাত লাগায় উল্টো শুরু হয় একের পর এক ষড়যন্ত্র।
অভিযোগ রয়েছে, তথাকথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী ‘আশুলিয়া এক্সপ্রেস’-এর হকার খোকা মাহমুদ চৌধুরী ও তার সহযোগী হাসান ভূঁইয়া, এসআই আনোয়ার হোসেনকে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছেন হকার বাহিনী। অভিযোগ আরও রয়েছে, তাঁরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে পুলিশকে চাপ দিচ্ছেন—“নাজমুল হক ইমুকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি?”
এসআই আনোয়ার সাহেব নিজে উপস্থিত থেকে জামগড়ার গফুর মন্ডল স্কুলসংলগ্ন এলাকায় আবারও গড়ে ওঠা সেই জুয়ার বক্স ভেঙে দেন এবং সেখান থেকে সব সরিয়ে দেন। সাংবাদিক নাজমুল হক ইমু সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে লাইভ সম্প্রচার করেন। এরপর থেকেই তাকে এবং এসআই আনোয়ার হোসেনকে টার্গেট করে চলছে একের পর এক হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল। হকার খোকা নিজেকে “আহ্বায়ক” দাবি করে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এনটিভির জাহিদুল ইসলাম, এটিএন নিউজের জাহিদ, গ্লোবাল টিভির তোফাসানি, হেলাল শেখ, ফরিদ আহমেদ চিশতী, কহিরুল ইসলাম খাইরুল, নাজমুল হক ইমু এবং রাকিবুল ইসলাম সোহাগসহ অনেক সত্যিকারের সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করেছেন এবং সেই ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত।
আশুলিয়া এক্সপ্রেসের এই কথিত সাংবাদিকরা ফেসবুক পেজকে ব্যবহার করছে গুজব, হুমকি ও চাঁদাবাজির হাতিয়ার হিসেবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হকার খোকার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডজনখানেক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে “ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা”। অথচ তার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই।
সৎ সাংবাদিকদের প্রশ্ন কেন অবৈধ লটারি উচ্ছেদ করায় হুমকির মুখে পড়তে হবে একজন পুলিশ অফিসারকে? কেন সত্য প্রকাশ করলেই ব্ল্যাকমেইল?
জনগণের পক্ষ থেকে দাবিঃ অবৈধ জুয়া লটারির সাথে জড়িত কথিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সৎ সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং মিথ্যা মামলার শিকার সকল সাংবাদিকের পাশে দাঁড়াতে হবে।