স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে দলের জন্য আজীবন কাজ করতে চাই বলে অঙ্গীকার করেছেন বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির সাবেক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত মো: লুৎফর রহমান লাল মিয়া মেম্বারের ছেলে তরুণ প্রজন্মের অহংকার তৃণমূল বিএনপি কর্মী মো: সাইদুল ইসলাম ।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সরাসরি জড়িত দাবি করে তিনি বলেন, বিগত খুনি শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে আমি (সাইদুল)সহ আমার পরিবারের সদস্যদেরকে নানাভাবে অহেতুক হয়রানি করা হয়েছে। এছাড়া আমি ও আমার পরিবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছিলাম। আমাদের ঘরবাড়ি বেআইনি ভাবে ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। আমার মরহুম বাবা লুৎফর রহমান লাল মিয়া ছিলেন বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দলের একজন বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন। এছাড়া তিনি পরবর্তীতে তুরাগ থানা বিএনপির উপদেষ্টা ছিলেন। বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে আমার আগমন ঘটে। পিতাই হল আমার প্রথম রাজনীতি গুরু। রাজনীতি ও আন্দোলন কিভাবে করতে সেটা আমি আমার পিতার কাছ থেকে শিখেছি। আজ পিতা বেঁচে নেই কিন্তু তার আদর্শ ও নীতি বুকে ধারণ করে আজো বিএনপির একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মী হিসেবে দলের জন্য প্রকাশ্যে সততা ও আদর্শের সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল উল্লেখ করে তরুণ প্রজন্মের কন্ঠস্বর মো: সাইদুল ইসলাম বলেন,
ইতিপূর্বে বাবার সাথে আন্দোলন সংগ্রামে গিয়ে পুলিশী হয়রানির শিকার হয়েছি। তবুও দলের জন্য হাল ছাড়িনি। বর্তমানে আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। যত দিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো তত দিন ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই থাকবো।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে তুরাগের ডিয়াবাড়ী এলাকায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাইদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী সাইদুল ইসলাম জানান, তুরাগের ডিয়াবাড়ী এলাকায় এক মুসলিম পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন । তার পিতার নাম মরহুম মো: লুৎফর রহমান লাল মিয়া মেম্বার । ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি’)র ৫৩ নং ওয়ার্ডের স্হায়ী বাসিন্দা হলেন তিনি।
পারিবারিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তৃণমূল বিএনপির এই কর্মী বলেন, তুরাগের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করার পর পিতার গড়া ডিয়াবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
সাইদুল ইসলামের পিতা প্রয়াত লুৎফর রহমান লাল মিয়া মেম্বার ডিয়াবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র হিসেবে এলাকাবাসীর নিকট পরিচিত বটে। বর্তমানে ডিয়াবাড়ী- নিমতলিরটেক জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাইদুল ইসলাম।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল বিএনপি কর্মী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার পিতা প্রয়াত লুৎফর রহমান লাল মিয়া মেম্বার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মিরপুরের সাবেক বিএনপি’র সংসদ সদস্য মরহুম এস, এ খালেক (এমপি)’র সাথে রাজনীতি করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে বিভিন্ন মিটিং মিছিল ও সভা সমাবেশ কর্মী নিয়ে অংশ গ্রহণ করে থাকি। এছাড়া স্হানীয় বিএনপির নেতাদের সাথে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে (সমন্বয়) করে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি । আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
ঢাকা -১৮ আসনে দল যাকে নমিনেশন দিবে তার পক্ষ হয়ে নি:স্বার্থভাবে দলকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
সাইদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জন্মলগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন।
সম্প্রতি রাজধানী তুরাগের ডিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সাইদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনাটি আমার বাড়ির পাশে ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে নিহত ও আহত এবং স্বজনদের দেখতে তুরাগের একাধিক বাড়িতে ছুটে যান বিএনপির শীর্ষ স্থায়ীয় নেতৃবৃন্দ, নীতিনির্ধারক, স্হানী কমিটির একাধিক সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখন তিনিও দলীয় নেতাদের সাথে স্বজনদের শান্তনা দিতে বাড়ি বাড়ি ছুটে গিয়েছেন। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের জানাযা’য় শরিক হয়ে তাদের জন্য দোয়া কামনা করেছেন। পাশাপাশি তিনি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে নিজ উদ্যোগে নিহতদের জন্য গভীর শোক জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরো জানান, বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতায় তুরাগের ডিয়াবাড়ি, তারারটেক, নিমতলীরটেক, চন্ডাল ভোগ পুকুরপাড়, পুরানকালিয়া সহ স্হানীয় মসজিদে মসজিদে নিজ উদ্যোগ বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেন।