গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন জাঝর এলাকার সাবিনা বেগম ও তার স্বামী মাহাবুর রহমান ও ছেলে রাব্বি সহ আরো কয়েকজন মিলে তাদের পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মরিয়ম বেগমকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে সাবিনা বেগম তিনবছর ধরে বীমা এবং ডিপিএস করানোর নামে অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আত্মসাত করে আসছে। তিনি এর জন্য সহজ সরল সাদাসিধে ব্যক্তিদের টার্গেট করে তাদেরকে নানাভাবে বুঝিয়ে সুঝিয়ে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে এবং চাহিবা মাত্র জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে প্রতিমাসে টাকা নিয়ে কোনো বীমার কাগজপত্র বা রশিদ বা কোনো প্রমানপত্র ছাড়াই টাকা নিয়ে নিজেই আত্মসাত করে আসছিল।মরিয়ম বেগম ও ভুক্তভোগীরা নিতান্তই গরীব হওয়াতে বীমার কিস্তির টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বীমা বা ডিপিএসের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে এবং কোন্ বীমা কোম্পানিতে টাকা জমা হয়েছে তার প্রমানস্বরুপ কাগজপত্র দেখাতে বললে সাবিনা বেগম তার স্বামী মাহাবুর রহমান ও ছেলে রাব্বি সহ আরো কয়েকজন মিলে মরিয়ম বেগমকে এলোপাথাড়ি মারধর করে মাথায় ও শরীরে যখম করে তার গায়ের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয় বলে জানা গেছে। মরিয়ম বেগম শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে এবিষয়ে গাছা থানায় অভিযোগ করেন । গাছা থানার এস আই খলিলুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গেছে সাবিনা বেগম যেসব বীমা বা ডিপিএস করিয়ে টাকা নিয়ে থাকে সে সবের কোনো কাগজপত্র বা প্রমাণ সাবিনা বেগম দেখাতে পারেনি। এবং এবিষয়ে কোনো মিমাংসা ও করা যায় নি।সাবিনা বেগম আবারও তার দলবল নিয়ে ২৮ তারিখ সোমবার মরিয়মকে মারতে গেলে তয় খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাবিনা বেগমের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের দেখে তিনি পালিয়ে যান। মরিয়ম বেগম তাকে মারার বিচার দাবি করেন এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সাবিনা বেগমের এই ধরনের প্রতারণার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।