নিজস্ব প্রতিবেদক :
রবিউল আওয়াল মাস আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ -এর জন্ম ও ইন্তেকালের মাস। এই মাসের সম্মান, মর্যাদা ও অনুপ্রেরণা ধারণ করতে অনেকেই আয়োজন করেণ সীরাত, আলোচনা, দোয়া,আজান প্রতিযোগিতা, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ও মিলাদ মাহফিল। মূল উদ্দেশ্য হলো হযরত মুহাম্মদ -এর জীবনাদর্শ, দয়া, ন্যায়বিচার ও মানবতার শিক্ষা মানুষের মনে জাগ্রত করা। রবিউল আওয়ালের বরকতময় পরিবেশে সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিকতার বীজ বপন করা হয়। সঠিক পথের দিশা, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও মানুষের কল্যাণের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এ আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রিয় নবীর আদর্শে জীবন গড়ে তোলাই এর মর্ম। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ -এর সম্মানে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডেমাকইড়, তাড়গ্রামের জে.কে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মনোয়ারা জালালউদ্দিন ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় বার্ষিকী সিরাত ও আযান প্রতিযোগিতা ২০২৫ এবং আলোচনা সভা।
মাহে রবিউল আওয়ালকে ঘিরে আয়োজিত এই মহতী অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের ১২টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট, বই এবং সার্টিফিকেট—যাতে তাদের প্রতিভা ও মনোবল আরও শক্ত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দিবেন এডভোকেট আজমল সরদার,
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দিবেন- নাসির মাওলানা ও মুফতি মুহিবুল্লাহ।সভাপতিত্ব করবেন, আলহাজ্ব আবদুল মান্নান সিকদার।
মনোয়ারা জালালউদ্দিন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং জে.কে পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান সিকদার কামালের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে।
কামাল সিকদার শুধু সফল শিল্প উদ্যোক্তা নন, তিনি একজন মানবপ্রেমী, দায়িত্বশীল নাগরিক ও আলোকিত সমাজ নির্মাণে নিবেদিত এক উদার মানুষ। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, সবার সঙ্গে ভালো থাকার প্রবণতা এবং মানবতার তরে ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি গোপালগঞ্জের তরুণ প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তার প্রতিষ্ঠিত মনোয়ারা জালালউদ্দিন ফাউন্ডেশন সব সময় মানবতার তরে প্রতিষ্ঠিত “ভালোর সাথে আলোর পথে” শ্লোগান বুকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী থেকে সাধারণ মানুষ—সবাইকে নিয়ে তিনি চান উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়া একটি সুন্দর সমাজ গঠন করতে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে শুধু সিরাত ও আযান প্রতিযোগিতা নয়, বরং সবার মধ্যে নৈতিকতা, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের চেতনাও জাগ্রত হবে। অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি এই উদ্যোগের মূল্য ও তাৎপর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবেপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ -এর প্রত্যাশা স্থানীয়দের।